অসময়ে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ভাঙ্গনে বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ অসময় ভাঙ্গনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, এনায়েতপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ ভাঙ্গনে এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের বেশ কয়েকটি গ্রামের বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
অনেক পরিবার ভাঙ্গনের মুখ থেকে অনত্র্য আশ্রয় নিচ্ছেন এবং তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন (হেড কোয়ার্টার) আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো অসময়ে যমুনা নদীর তীরবর্তী এনায়েতপুরসহ কয়েকটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। এ ভাঙ্গন নিয়ে আতংকের কিছু নেই। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণেরও কাজ চলছে। স্থানীয়রা বলছেন, এ ভয়াবহ ভাঙ্গন রোধে বিপুল টাকা ব্যয় বরাদ্দে নদী ডানতীর রক্ষা স্থায়ী বাঁধ নিমাণ প্রকল্প গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে এখনো এ জনস্বার্থ প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতি বছরই তীব্র ভাঙ্গণে কবলে পড়ে নিঃশ্ব হচ্ছে নদী তীরবর্তী মানুষ।
ভাঙ্গণে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ জালালপুর, ব্রাক্ষনগ্রাম, হাটপাচিল ও আরকান্দিসহ অনেক গ্রাম। প্রতি বছরই এ ভাঙ্গণে ভিটেমাটিসহ সব হারিয়ে নিঃস্ব হতে হয় নদী পাড়ের মানুষ। ভাঙ্গন রোধে এসব এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং নির্বাচিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকল্পের কাজও শুরু করে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নানা জটিলতায়, কাজের ধীরগতি ও গাফিলতির কারণে এই প্রকল্প কাজ নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে ভাঙ্গন এলাকার মানুষের দূর্দশার সৃষ্টি হয়েছে এবং এ অসময়ে অনেক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, অসময়ে যমুনা নদী তীরবর্তী কয়েকটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সেখানে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি এ ভয়াবহ ভাঙ্গন রোধে এনায়েতপুর থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকা ব্যায়ে যমুনার নদীর ডান তীরে স্থায়ী বাধেঁর প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। মৌসূমী বর্ষাসহ নানা কারণেই এ কাজের কিছুটা ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছিল। এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে এখন নজরদারি রাখা হচ্ছে। তবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে এ প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।